পরোক্ষ আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে যে ভাবে জয়ী হলো ইরান

ইরান বর্তমানে পারমাণবিক আলোচনায় একটি শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে। কূটনৈতিক বুদ্ধিমত্তা দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে একরকম কোনঠাসা করে রেখেছে ইরান। যুক্তরাষ্ট্র পারমানবিক আলোচনায় এগিয়ে রয়েছে এমন বললেও প্রকৃতপক্ষে ইরানই

এই বিষয়ে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে। এই সুবিধা মূলত তিনটি বিষয়ের সিদ্ধান্ত থেকে আসে। প্রথমটি হলো, আলোচনাকে শুধু পারমানবিক ইস্যুতে সীমাবদ্ধ রাখা- ইরান শুরু থেকেই দাবি করে আসছে, আলোচনার পরিধি যেন কেবল পারমাণবিক ইস্যুতেই

সীমাবদ্ধ থাকে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র চায় আলোচনায় প্রতিরক্ষা ও আঞ্চলিক ভূমিকার বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করতে। তবে ইরান দৃঢ়ভাবে প্রতিহত করছে এই চেষ্টা। এটি ইরানের একটি কৌশলগত জয়,

কারণ একবার আলোচনার পরিধি বাড়ানো হলে পশ্চিমা শক্তি তাদের সুবিধাজনক দাবিগুলো চাপিয়ে দিতে পারে। আলোচনার বিষয়বস্তুর নিয়ন্ত্রণ হাতে রেখে ইরান নিজেদের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় অবস্থান নিশ্চিত করেছে।

দ্বিতীয়টি হলো, আলোচনার স্থান নির্ধারণ- এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক বিষয়। আলোচনার স্থান নির্ধারণে ইরান একটি নিরপেক্ষ ও মধ্যস্থতাকারী রাষ্ট্র ওমানকে বেছে নিয়েছে। এটি প্রমাণ করে

ইরান আলোচনায় তার শর্তে স্থির ও আত্মবিশ্বাসী অবস্থানে আছে, যা যুক্তরাষ্ট্রকে মানসিকভাবে চাপের মুখে ফেলেছে। এর কারণ, তারা ইরানকে সরাসরি আলোচনার টেবিলে আনতে পারছে না।

তৃতীয়টি হলো, সরাসরি নয়, পরোক্ষভাবে আলোচনায় অংশ নেওয়া-

এর ফলে ইরান যেকোনো সময় আলোচনা থেকে বের হয়ে আসতে পারে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র আলোচনায় নতুন শর্ত বা ইস্যু আনতে চাইলে ইরান আলোচনা থেকে সরে আসতে পারে। এই সিদ্ধান্ত একইসাথে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টি করে। কারণ বিশ্বের কাছে এটি প্রমাণিত হয় যে, ইরান চাপের কাছে নতি স্বীকার করছে না।

সূত্র: https://youtu.be/USLbHo5mWxA?si=CnLADAMlLdXk9zMa

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *