৪৮ ঘণ্টার মধ্যে হ’ত্যা মা’মলার র’হস্য উদঘাটন করে আ’সামী গ্রে’ফতার!

রাঙ্গামাটি কোতয়ালী পুলিশ ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে হত্যা রহস্য উদঘাটনসহ প্রধান আসামীকে গ্রেফতার করেছে। গত ০৪ এপ্রিল দিবাগত রাতে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার কোতয়ালী থানাধীন রাঙ্গামাটি শহরের রিজার্ভ বাজার মহসিন কলোনী এলাকার ভাড়া বাসা থেকে একজন অজ্ঞাত মহিলার অর্ধগলিত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।

কোতয়ালী থানা পুলিশ মৃত অজ্ঞাতনামা মহিলার ফিঙ্গার প্রিন্ট নিয়ে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে অজ্ঞাতনামা মৃতদেহের পরিচয় সনাক্ত করে। ওই মহিলার নাম খাদিজা আক্তার (৪২), পিতা-মৃত আকবর হাওলাদার, মাতা-মৃত গোলবানু, সাং-পুটিখালী, থানা-মোরেলগঞ্জ, জেলা- বাগেরহাট।

পরে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার পুলিশ সুপার ড. এস এম ফরহাদ হোসেনের নির্দেশনায় উপরোক্ত হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করে হত্যাকা-ের সঙ্গে জড়িত প্রধান আসামী মোঃ জামাল হোসেন মোল্লা (৪২) গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ক্লুলেস এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করা হয়। তার পিতা-মোঃ আইয়ুব আলী মোল্লা, সাং-বুড়ো মৌলভীর দরগাহ সড়ক, থানা-লবনচরা, জেলা-খুলনা।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডে প্রধান অভিযুক্ত মোঃ জামাল হোসেন জানায়, ভিকটিম মৃত খাদিজা আক্তারের সঙ্গে তার দীর্ঘ ১০ বছর ধরে পরিচয় ছিল। মৃত মহিলা তার খাবারের হোটেলে চাকরি করতো। দীর্ঘদিন পরিচয়ের সুবাদে তাদের মধ্যে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত ০৩ বছর পূর্বে অভিযুক্ত জামাল ভিকটিম মহিলাকে বিবাহ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ব্যবসায়িক প্রয়োজনে তিন লাখ টাকা নগদে গ্রহণ করেন।

মহিলা তাকে বিবাহ করার জন্য চাপ দিতে থাকে এবং তার পাওনা টাকা ফেরত দিতে বলে। আর যদি সে (অভিযুক্ত জামাল) ভিকটিমকে বিবাহ না করে এবং পাওনা টাকা ফেরত না দেয়, তাহলে ভিকটিম তাদের সম্পর্কের বিষয়টি পরিবারের লোকজনকে জানিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়।

যার প্রেক্ষিতে তিনি (অভিযুক্ত জামাল) ভিকটিমকে হত্যা করার পরিকল্পনা করে গত ০১/০৩/২০২৫ খ্রিঃ তারিখ ভিকটিমসহ রাঙ্গামাটিতে এসে রিজার্ভ বাজার মহসিন কলোনীতে একটি রুম ভাড়া নেয়। অভিযুক্ত মোঃ জামাল হোসেন মোল্লা ভিকটিম খাদিজা আক্তারকে দই ও জুসের সাথে ঘুমের ঔষধ খাইয়ে

গত ০২/০৪/২০২৫ খ্রিঃ বেলা অনুমান ১২:০০ ঘটিকার সময় গলায় গামছা পেঁচিয়ে হত্যা করে এবং মৃত্যু নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ভিকটিমের দুই পায়ের গোড়ালির উপরে পিছন দিকের রগ কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করে রুমের বাইরে থেকে তালাবদ্ধ করে সকলের অগোচরে পালিয়ে যায়। পরে তাকে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে গ্রেফতার করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *