যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের তুমুল সংঘর্ষে নি’হ’ত ১, আহত ২০

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের মধ্যকার সংঘর্ষে গলায় গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসিব মিয়া (২৮) নামে একজন নিহত হয়েছেন।

এ ঘটনায় দুইজন গুলিবিদ্ধসহ ২০ জন আহত হয়েছেন। বুধবার (১৯ মার্চ) সকালে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসিব মিয়ার মৃত্যু হয়। তার আগে মঙ্গলবার রাতে

উপজেলার চনপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্রে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। নিহত হাসিব মিয়া অটোরিকশা চালক। সে চনপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্রের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের আনোয়ার হোসেনের ছেলে। স্থানীয়রা জানায়, মঙ্গলবার রাতে চনপাড়া স্বেচ্ছাসেবক দল সমর্থিত

রবিনের সঙ্গে একই এলাকার যুবদল সমর্থিত মনিরের কথা কাটাকাটি ও একপর্যায়ে হাতাহাতি হয়। বিষয়টি মীমাংসার জন্য বুধবার ভোরে সালিশ বসে। সালিসে দুইপক্ষই উত্তেজিত হয়ে উঠে। খবর পেয়ে উভয় পক্ষের কর্মী

সমর্থকেরা অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে উভয়পক্ষই গুলিবর্ষণ করে। তাতে আবুল বাশার, রাসেল আহম্মেদ, হাসিব মিয়া গুলিবিদ্ধ হয়। আহত হয় অপর ১৭ জন।

পরে তাদের উদ্ধার করে প্রথমে রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বুধবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসিব মিয়ার মৃত্যু হয়। হাসিব মিয়ার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে চনপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্রে পুনরায় উত্তেজনা দেখা দেয়।

নিহতের বড় ভাই যুবদল কর্মী বাবু বলেন, গত মঙ্গলবার রাতে মাদক ব্যবসায়ী রবিনকে এলাকার কয়েকজন আটক করে। এ সময় কায়েতপাড়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী রাব্বানী ও তার লোকজন এসে তাকে ছাড়িয়ে নেয়। পরে তারা আরও লোকজন নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় হাসিব মিয়া গুলিবিদ্ধ হয়।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, নিহত হাসিব মিয়ার গলায় গুলি লেগে খাদ্যনালী ও শ্বাসনালী ফুটো হয়ে গেছে।

রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী বলেন, চনপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্র এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত। সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারে পুলিশ তৎপর রয়েছে। হত্যার ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

নারায়ণগঞ্জ জেলা সহকারী পুলিশ সুপার মেহেদী হাসান বলেন, চনপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্র এলাকায় দিনভর অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সন্ত্রাসীরা যত প্রভাবশালীই হোক ছাড় দেওয়া হবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *