
গাজার আকাশে ধ্বংসস্তূপের মধ্যে আবারও হামলা চলছে। লাশের গন্ধে ভারী হয়ে উঠছে গাঁজার বাতাস, এবং বহু মানুষ ধ্বংসস্তূপের মধ্যে হাতড়ে বেড়াচ্ছেন প্রিয়জনের স্মৃতি। অবরুদ্ধ উপত্যকায় নারকীয় তাণ্ডব চালিয়ে ইসরাইলি বাহিনী থামছে না।
মঙ্গলবার ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, যুদ্ধবিরতি আলোচনার মাঝেও বর্বরতার মাত্রা আরও তীব্র হবে এবং তেলআবিব নিজের লক্ষ্য অর্জন না করা পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সুর মিলিয়ে দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রীও হামাসকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, যদি সবুজ সংকেত না দেয়া হয়, তবে নরকের দরজা খুলে দেয়া হবে। গাজার বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক বিমান হামলা চালানো হয়েছে, যাতে শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তাসহ বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছেন।
টাইমস অফ ইসরাইলের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, এসব হামলায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠনের নেতাদের লক্ষ্য করা হয়েছে। তবে হামাস এখনও কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
ইসরাইলি বাহিনী হামলা চালিয়ে থেমে থাকছে না; তারা নির্দেশনা দিয়েছে গাজার বিভিন্ন স্থান খালি করতে। এই পরিস্থিতিতে প্রাণে বাঁচতে গাজার বাসিন্দারা ঘরবাড়ি ছেড়ে উপত্যকার মধ্যাঞ্চলে পাড়ি জমাচ্ছেন।
এক বাসিন্দা জানান, “আমরা এখন কি করব, কোথায় যাব? সবাই খুব ক্লান্ত।” এদিকে, জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তনিয়ো গুতেরেস গাজায় পুনরায় আগ্রাসনের জন্য গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “ফিলিস্তিনের জনগণের জন্য অসহনীয় দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে।” জাতিসংঘ ইসরাইলকে চাপ দেবে যাতে যুদ্ধবিরতি মেনে চলা হয় এবং মানবিক সহায়তা অব্যাহত রাখা যায়, বলেও তিনি জানান।