
হাবীবুল্লাহ বাহার ডিগ্রি কলেজের সাবেক উপাধ্যক্ষ মোহাম্মদ সাইফুর রহমান ভূঁইয়া রাজধানীর উত্তরখান এলাকায় হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তার বাসায় আশ্রয় নেওয়া নবদম্পতিকে আটক করেছে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন, জানিয়েছেন তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
পুলিশ জানায়, সাইফুর রহমানের সঙ্গে নবদম্পতির সম্পর্ক ছিল খুবই সন্দেহজনক। তদন্তের সূত্রে জানা যায়, নবদম্পতি গত ৭ মার্চ পালিয়ে বিয়ে করেছিলেন এবং কিছুদিনের মধ্যে তাদের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তৈরি হয়।
সাইফুর রহমানের বাসায় বসবাসের সময় নবদম্পতির মধ্যে অস্বস্তি এবং ক্ষোভ তৈরি হতে থাকে, বিশেষ করে সাইফুর রহমান তরুণীকে শারীরিকভাবে বিরক্ত করতে শুরু করেন।
এক পর্যায়ে, সোমবার রাতে, সাইফুর রহমান এবং নবদম্পতির মধ্যে তীব্র ঝগড়া শুরু হয়, এবং এর পরই ছেলেটি ধারালো অস্ত্র দিয়ে সাইফুর রহমানকে আঘাত করেন। পরবর্তীতে, তারা বাসা থেকে পালিয়ে যান এবং সাইফুর রহমানের মোবাইল ফোন ও বাসার চাবি নিয়ে চলে যান।
পুলিশের কর্মকর্তারা আরো জানিয়েছেন, এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে একাধিক কারণ থাকতে পারে। সাইফুর রহমানের শারীরিক আচরণ, নবদম্পতির ক্ষোভ, এবং বাসায় তাদের বন্দি করা—এসব বিষয়ের সম্মিলিত প্রভাবে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে তারা মনে করছেন। তবে এখনো হত্যার মূল কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যায়নি।
প্রতিবেশীরা জানান, সোমবার ভোরে সাইফুর রহমান বাসার টয়লেটের জানালা থেকে ‘বাঁচাও বাঁচাও’ বলে চিৎকার করছিলেন।
তাদের চিৎকার শুনে কিছু প্রতিবেশী এগিয়ে যান এবং ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে সাইফুর রহমানকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।