সংস্কার ও বিচারের পর নির্বাচন?

নতুন রাজনৈতিক দলের গঠন এবং ছাত্র আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে, পুরনো রাজনৈতিক দলগুলির সাথে মতপার্থক্য সৃষ্টি হয়েছে। নতুন দলটির উদ্দেশ্য, শহীদদের রক্তের বিনিময়ে পাওয়া বাংলাদেশের জন্য একটি নতুন রাজনৈতিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা।

তবে, পুরনো রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তাদের কিছু মূল বিষয়ে অমিল রয়েছে, বিশেষ করে নির্বাচনের প্রসঙ্গে।
নির্বাচন কেন্দ্রিক আলোচনা চলাকালীন, নতুন রাজনৈতিক দলটি এক ধরনের নির্দিষ্ট অবস্থান নিয়ে বলেছে যে শেখ হাসিনার বিচার না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন হওয়া উচিত নয়।

এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের মনোভাব স্পষ্ট হয়েছে, যা রাজনৈতিক মহলে আলোচনা তৈরি করেছে। নির্বাচনের আগে বিচার এবং শাস্তির বিষয়টি একটি গুরুত্বপূর্ণ আলাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যদিও, এটি বিচার ব্যবস্থার স্বাধীনতা এবং বিচার প্রক্রিয়া নির্ধারণের ক্ষেত্রে সরকারের সিদ্ধান্তের অধিকার।

এছাড়া, সরকারের মধ্যে নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, যদিও বিএনপি ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলি দ্রুত নির্বাচনের পক্ষে চাপ দিচ্ছে। নির্বাচন সময়সীমা এবং পদ্ধতি নিয়ে কিছু সংশয় রয়েছে। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে নির্বাচনের প্রস্তুতি চলমান, তবে রাজনৈতিক দলের মধ্যে উত্তেজনা এবং মতপার্থক্য রয়েছে।

এই পরিস্থিতি দেশের রাজনৈতিক চর্চার জন্য একটি বড় সুযোগ এবং চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিবেশে, সুস্থ গণতান্ত্রিক আলোচনার মাধ্যমে একটি স্থিতিশীল ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত করার আশা করা হচ্ছে।

সংস্কার এবং বিচারের পর নির্বাচন বিষয়ে আলোচনা করলে বলা যায়, নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। তবে, যদি কেউ বলে যে “যতদিন ফাঁসি না হবে, ততদিন ভোটের কথা বলা যাবে না”, তাহলে তা নির্বাচনের প্রক্রিয়ার পেছনে ষড়যন্ত্রের আভাস হতে পারে। নির্বাচনের প্রতি রাজনৈতিক দলের মধ্যে সংস্কার নিয়ে আলোচনা ও সহনশীলতা জরুরি, যাতে নির্বাচনী প্রক্রিয়া ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তন ছাড়া সমাজ পরিবর্তন সম্ভব নয়, তবে রাজনীতিবিদদের মধ্যে সহনশীলতার অভাব থাকলে তা নির্বাচনকে বিপথে নিয়ে যেতে পারে।

ডক্টর ইউনুসের বক্তব্যে কিছুটা বিভ্রান্তি রয়েছে, কারণ তিনি বলেছেন যে নির্বাচনের জন্য ঐকমত্যের ভিত্তিতে সংস্কার করা হবে, তবে এক্ষেত্রে কোন প্রকৃত ঐকমত্য নেই। এজন্য রাজনীতিবিদদের মধ্যে পরস্পরের প্রতি সহনশীলতা এবং তাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তন অত্যন্ত জরুরি।

জুলাই চার্টার বা ডিক্লারেশন বিষয়েও কিছু বিভ্রান্তি রয়েছে। ছাত্রদের দাবি অনুযায়ী, জুলাই ডিক্লারেশনটি রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য তৈরি করতে চায়, তবে এখন পর্যন্ত তা সম্পূর্ণভাবে কার্যকর হয়নি।

নির্বাচন অনুষ্ঠানের আগে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আলোচনার প্রয়োজন, যাতে জনগণ সঠিকভাবে তাদের মতামত জানাতে পারে এবং নির্বাচন আরও নিঃস্বার্থ ও মুক্ত হবে।

নির্বাচন নিরপেক্ষভাবে পরিচালিত হওয়া উচিত, যাতে কোনো পক্ষপাতিত্ব না থাকে। নির্বাচন কমিশনকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে, যেমন কিছু কর্মকর্তার পদত্যাগ বা পরিস্কারতা প্রতিষ্ঠা করা। এর মাধ্যমে জনগণ নিশ্চিত হতে পারবে যে নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে হচ্ছে। মান্না ভাই এবং মোহাম্মদ আবুল কালামকে ধন্যবাদ জানানো হয়েছে। নির্বাচনের সময় যত ঘনিয়ে আসবে, সরকার কতটা নিরপেক্ষভাবে সুন্দর একটি ভোট প্রক্রিয়া আয়োজন করতে সক্ষম হবে, তা স্পষ্ট হবে। আশা করা হচ্ছে যে, একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হবে এবং গণতান্ত্রিক অভিযাত্রার পথে এগিয়ে যাবে।

সূত্র : https://www.youtube.com/watch?v=uTThMweidV8

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *