
প্যারোলে মুক্তি পেয়ে মায়ের জানাজায় অংশ নিতে জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জ উপজেলার আওয়ামী লীগ নেতা হাফিজুর রহমান হাবিব নিজ গ্রামে ফিরেছেন। মঙ্গলবার (৪ মার্চ) দুপুরে তিনি তার মায়ের জানাজা ও দাফনে অংশ নেন। এই ঘটনায় স্থানীয় মানুষ ও প্রশাসনের নজর কাড়ে।
হাফিজুর রহমান হাবিব দক্ষিণ পাটাদহ গ্রামের বাসিন্দা এবং মাদারগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক হিসেবে পরিচিত। জানা গেছে, হাফিজুর রহমান হাবিব নাশকতার মামলায় জামালপুর জেলা কারাগারে বন্দি ছিলেন। তবে তার মা হামিদুন বেগমের মৃত্যু হওয়ায় শেষবারের মতো মায়ের মুখ দেখতে এবং জানাজা ও দাফনে অংশ নিতে তিনি প্যারোলে মুক্তি চেয়েছিলেন।
৩ মার্চ রাত ১১টায় তার মা বার্ধক্যজনিত কারণে ৯৫ বছর বয়সে মারা যান। মায়ের মৃত্যুর খবর শুনে হাবিব দিশেহারা হয়ে পড়েন। পরিবারের সদস্যদের মাধ্যমে তিনি জামালপুর জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে প্যারোলে মুক্তির জন্য আবেদন করেন।
জেলা প্রশাসক হাছিনা বেগম তার আবেদন মঞ্জুর করে তাকে ৩ ঘণ্টার জন্য প্যারোলে মুক্তি দেন। মুক্তির সময় তার সঙ্গে ছিল পুলিশ পাহারা। দুপুর ১টা থেকে ৪টা পর্যন্ত ওই সময়ের মধ্যে তিনি তার মায়ের জানাজা ও দাফন সম্পন্ন করেন। এই সময়ের মধ্যে তাকে পুরোপুরি নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছিল এবং পুলিশ তার পাশে ছিল।
জানাজা ও দাফন শেষে, নির্ধারিত সময় শেষে হাবিজুর রহমান হাবিবকে পুনরায় কারাগারে ফিরিয়ে নেওয়া হয়। মাদারগঞ্জ মডেল থানার ওসি হাসান আল মামুন এ বিষয়ে বলেন, “হাফিজুর রহমান হাবিব প্যারোলে মুক্তি পেয়েছেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশনায়, এবং জানাজা শেষে তাকে আবার কারাগারে পাঠানো হয়েছে।”
হাফিজুর রহমান হাবিব ১৭ ফেব্রুয়ারি জামালপুরের নিজ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হন এবং তার পর থেকে তিনি জামালপুর জেলা কারাগারে বন্দি আছেন। তার বিরুদ্ধে নাশকতার অভিযোগ রয়েছে এবং এই মামলায় তিনি বর্তমানে আদালতের বিচারের সম্মুখীন।
এই ঘটনা অনেককে চমকে দিয়েছে, কারণ এটি সাধারণত দেখা যায় না যে, একটি প্যারোলে মুক্তি পাওয়া আসামি তার মা মারা যাওয়ার পর শেষবারের মতো জানাজায় অংশ নিতে পারে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে এটি একটি বিশেষ অনুমতি ছিল এবং এভাবে তার পরিবারের কাছে শেষ শ্রদ্ধা জানানো সম্ভব হয়েছে।