হৃদয় ছাত্র হত্যা মামলায় ভাঙ্গা থানার ওসিসহ ৪ পুলিশ গ্রেপ্তার

ভাঙ্গা থানার ওসি ও গাজীপুর কোনাবাড়ী থানার সাবেক (ওসি) মো. শফিকুল ইসলামসহ ৪ পুলিশকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলাসহ গত বছরের ৫ আগষ্ট গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে কলেজছাত্র মো. হৃদয় হত্যা মামলার আসামি ছিলেন তারা।

গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর ডিবি পুলিশের একটি টিম ওসিসহ ৪ পুলিশকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করে।

পরে ভাঙ্গা থানার ওসি মো. শফিকুল ইসলাম, গাজীপুর জেলা গোয়েন্দা শাখা সাবেক পরিদর্শক ও দুই কনস্টেবলসহ চারজনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আগামী মাসে তাদের বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ধার্য করেছেন। কারাগারে পাঠানো পুলিশ সদস্যরা হলেন,

বর্তমান ভাঙ্গা থানার ওসি ও সাবেক গাজীপুরের কোনাবাড়ী থানার সাবেক ওসি মো. শফিকুল ইসলাম, গাজীপুর জেলা গোয়েন্দা শাখা সাবেক পরিদর্শক এম আশরাফ উদ্দিন, কনস্টেবল ফাহিম হাসান ও কনস্টেবল মাহমুদুল হাসান সজীব।

বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, গত বছরের ৫ আগষ্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে কলেজছাত্র মো. হৃদয়কে হত্যা করা হয়। ওই মামলায় ভাঙ্গা থানার ওসিসহ ৪ পুরিশ সদস্যকে আসামি করা হয়।

গাজীপুরে সংঘটিত হৃদয় হত্যা সংক্রান্ত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গতকাল ২৭ ফেব্রুয়ারি ট্রাইব্যুনালে ডিবি পুলিশ কতৃর্ক তাদেরকে হাজির করা হয়।

পরে ট্রাইবুনাল ওসিসহ ৪ পুলিশ সদস্যকে জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তাদের মধ্যে ফরিদপুর ভাঙ্গা থানার ওসি শফিকুল ইসলাম আছেন। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গাজীপুর ডিবিতে কর্মরত ছিলেন।

সূত্র আরো জানায়, বুধবার রাতে ভাঙ্গা থানার ওসি মো. শফিকুল ইসলামকে ফরিদপুর এসপি অফিসে নেওয়া হয়। সেখান থেকে রাতেই তাকে ঢাকার ডিবি পুলিশের কার্যালয় নেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার সকালে তাকে ঢাকা মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। পরে আদালত তাদেরকে ঢাকা কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

বর্তমানে ভাঙ্গা থানার ওসি মো. শফিকুল ইসলামকে ক্লোজ করা হয়েছে। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *