দেশকে অস্থিতিশীল করতে ভয়ঙ্কর চক্রান্তের ছক আ’লীগের

দেশকে অস্থিতিশীল করতে আ’লীগের ভয়ঙ্কর চক্রান্তের ছক পতিত আওয়ামী লীগ দেশকে অস্থিতিশীল করতে ভয়ঙ্কর পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। তারা একের পর এক অঘটন ঘটিয়ে অস্থিরতা সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির

অবনতি ঘটানোর পেছনে তাদের হাত রয়েছে বলে জানা গেছে। বিদেশিদের কাছে দেশকে হেয় করতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তারা সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। একটি সূত্র জানিয়েছে, তারা আগামী মার্চের মাঝামাঝি ও এপ্রিলের মধ্যে দেশের পরিস্থিতি চরম পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে।

একটি সূত্র জানিয়েছে, পতিত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা নানা ইস্যু নিয়ে কাজ করছে। গত ৫ আগস্ট হাসিনার দেশ ছাড়ার পর, আওয়ামী লীগের কিছু নেতাকর্মী রাতারাতি তাদের অবস্থান পাল্টে সাধু সেজে মাঠে নেমেছে।

তারা বিভিন্ন গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত হয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অস্থির করার চেষ্টা করছে। ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন, ঢাকায় হঠাৎ করেই ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও অন্যান্য অপরাধ বৃদ্ধি পেয়েছে।

এসব অপরাধে জড়িত রয়েছে আওয়ামী সমর্থিত সাবেক কাউন্সিলরদের সহযোগীরা। তাদের নিয়ন্ত্রিত কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা এই অপরাধে যুক্ত। ঢাকা শহরের বেশিরভাগ অপরাধ এখনো তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে।

সূত্রটি দাবি করেছে, এসব কর্মকাণ্ডের পেছনে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের ইন্ধন রয়েছে। অনেক কিশোর গ্যাং সদস্য বর্তমানে অন্য কোনো প্রভাবশালীর আশ্রয়ে অপরাধ কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে।

সূত্র জানিয়েছে, আগামী মধ্য-এপ্রিলের মধ্যে আওয়ামী লীগ দেশকে চরম অসহিষ্ণু পরিস্থিতিতে নিয়ে যাওয়ার জন্য তাদের বিভিন্ন শাখা সংগঠন নিয়ে মাঠে কাজ করছে। তাদের এই কর্মকাণ্ডে সহায়তা করছে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা, র।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি ঘটানো এবং কিছু দিবসকেন্দ্রিক বিতর্ক সৃষ্টি করে আন্তর্জাতিক মহলে দেশের ভাবমর্যাদা ক্ষুণ্ন করার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।

৭ মার্চের শেখ মুজিবের ভাষণ, যা ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর ইউনেস্কো ‘ডকুমেন্টারি হেরিটেজ’ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছিল, এবার আওয়ামী লীগ প্রচারে বাধার সম্মুখীন হবে, কারণ এবার কোনো আয়োজন থাকবে না।

তারা এই পরিস্থিতি বড় করে তুলে আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশকে হেয় করার পরিকল্পনা করছে। এবারের ৭ মার্চের ভাষণের প্রচার বা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে এটি নিয়ে আলোচনা পেতে আওয়ামী লীগের লক্ষ্য।

পয়লা বৈশাখও আওয়ামী লীগের লক্ষ্যবস্তু। ইউনেস্কোর স্বীকৃত পুতুল শো (মঙ্গল শোভাযাত্রা) নিয়ে তাদের পরিকল্পনা, যাতে কেউ বাধা দিলে, সেটি বিশ্ব মিডিয়ায় প্রচার করা হবে। পাশাপাশি, ১৭ মার্চ শেখ মুজিবের জন্মদিন এবং জাতির পিতা হিসেবে তার

পরিচিতি নিয়েও বিশ্বব্যাপী প্রচার চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন জায়গায় এসব প্রচারের জন্য কাজ করছে। তারা গুজব ছড়ানোর মাধ্যমেও পরিস্থিতি আরো উত্তপ্ত করার চেষ্টা করছে।

এছাড়া, সাবেক গাজীপুর মেয়র জাহাঙ্গীরের একটি অডিওর মাধ্যমে তার বাহিনী ঢাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি ঘটানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে, এমন তথ্য পাওয়া গেছে। আওয়ামী লীগ,

যারা রাজনৈতিকভাবে দেশ থেকে তাড়িত হয়েছে, তারা এখন অভ্যন্তরীণ কোন্দল সৃষ্টি করতে চাইছে। তাদের উদ্দেশ্য, বিরোধী শক্তির মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে তাদের শক্তিকে নাজুক করা।

বিশেষ করে, নারীদের নিয়ে পরিকল্পিতভাবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি, নারী ধর্ষণ করে নারীবাদীদের উসকিয়ে দেওয়া এবং সহিংসতা ছড়িয়ে দেওয়ার মতো ঘটনার জন্য আওয়ামী লীগ প্রস্তুত, এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

এইসব কার্যক্রমের উদ্দেশ্য বিরোধী শক্তির মধ্যে অস্থিরতা তৈরি করা এবং দেশের দুটি বৃহৎ রাজনৈতিক শক্তির ঐক্য নষ্ট করা।সরকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি করতে নানা

পরিকল্পনা নিয়েছে এবং কঠোর অবস্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করতে যাচ্ছে। তবে, পুলিশ বাহিনীর মধ্যে আতঙ্ক এবং অভ্যন্তরীণ অসামঞ্জস্যতা রয়েছে, যা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বাধা সৃষ্টি করছে বলে জানা গেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *