পর্দার পিছনের এক নারী জুলাই আন্দোলনে মাস্টারমাইন্ডদের মাস্টারমাইন্ড!

সময়ের আলোচিত অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট সাদিকুর রহমান খান সম্প্রতি তার এক ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে জুলাই আন্দোলনে এক নারীর ভূমিকা নিয়ে কথা বলেছেন।

সাদিক তার পোস্টে উল্লেখ করেন, সায়ের ভাইয়ের পোস্টের সবচে সিগনিফিকেন্ট চরিত্র ছিলো একজন নারী সাংবাদিক।যিনি বারবার বকাঝকা করে সাদিক কায়েমকে আন্দোলনের স্ট্র্যাটেজি ঠিক করে দিয়েছিলেন।

এমনকি এক দফা ঘোষণা করতে যখন স্টেক হোল্ডাররা গড়িমসি করছিলো তখন নারীসুলভ কুইট করার হুমকি দিয়ে পোলাপাইনকে এক দফা দিতে বাধ্য করেছেন। এই নারীর মধ্যেও আমি মা সুলভ ট্রেন্ডেন্সি দেখেছি উল্লেখ করে তিনি আরো

বলেন, মায়েরা যেমন “আমি আর থাকবো না এই সংসারে, তোরাই থাক” বলে টলে আবার পরম মমতায় আমাদের আগলে রাখেন, এই নারীও সাদিক কায়েমের সাথে ঠিক এই কাজটাই করেছেন। অমুক করো নাহলে আমি কুইট করবো।

সাদিক কায়েমও ছেলে সুলভ আবদার নিয়ে বারবার আগলে দাঁড়িয়ে বলেছেন, আপনি কুইট করবেন না প্লিজ, সবার সাথে সমন্বয় করতে আমার কষ্ট হচ্ছে। বাট আমি এই আন্দোলনের জন্য আমার প্রাণ দিতে প্রস্তুত।

সবাই যখন তাদের পরিচয়, ক্রেডিট ভাগাভাগিতে ব্যস্ত, এই নারী এতো কিছু করেও তাঁর নামটাও প্রকাশ করতে রাজি হননি। জুলাই বিপ্লবে এই দেশের মেয়েরা যখন রাস্তায় মার খাচ্ছিলো,

পুলিশের গাড়ি আটকে দাড়াইছিলো বা ছাত্রলীগের সামনে নিজের সাহস, জীবন আর সম্ভ্রম নিয়ে বিদ্রোহ করে বসেছিলো, ঠিক তখন পর্দার পেছনের এক নারী তার দৃঢ়তা, প্রজ্ঞা আর মাতৃসুলভ মমতা নিয়ে একের পর এক দুর্দান্ত রাজনৈতিক ডিসিশন মেক করে যাচ্ছিলেন।

শুধু বাংলাদেশ না, বরং পুরো পৃথিবীর ইতিহাসেই জুলাই বিপ্লবে আমাদের মেয়েদের এই সক্রিয় অবদানের কথা সোনার অক্ষরে লেখা থাকবে বলেই আমার বিশ্বাস।

জুলকার নাইন সায়ের ও সাদিকুর রহমান খানের প্রশ্নের পর দেশজুড়ে আলোচনা হচ্ছে তাহলে কি জুলাই আন্দোলনের আসল মাস্টারমাইন্ড ওই নারী?যদিও তিনি এখনো প্রকাশ্যে নিজেকে আনতে চাচ্ছেন না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *