সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের প্রতি যে ‘আহ্বান’ জানালেন সারজিস

জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, ৫ ই আগস্ট যেটা রাত অর্থাৎ চারে আগস্ট শেষ হয়েছে, সম্ভবত দুইটা তিনটার দিকে আমি একটা পোস্ট দিয়েছিলাম ফেসবুকে।পোস্টটা ছিলো আমাদের যেই শ্রদ্ধার সশস্ত্র বাহিনী। ওই মুহূর্তে আমার মনে হয়েছে যে খুনি শেখ হাসিনা তো ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য পুলিশ নামক একটা প্রতিষ্ঠানকে অপব্যবহার করতে করতে, এই প্রতিষ্ঠানের যে সম্মান ছিল তা ধুলিস্যাত করে দিয়েছে।

এর মধ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পাঁচ ই আগস্ট তারা একটু সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা যদি চাইতো তখন আরো ২০ হাজার মানুষ হত্যা করতে পারতো।কিন্তু বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তাদের মর্যাদা চেষ্টা করছিল বলেই, তাদের বন্দুক থেকে গুলি বের হয় নাই বলেই বাংলাদেশের মানুষ খুনি শেখ হাসিনাকে বিতাড়িত করতে পেরেছে। খুনি হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। তো আজকে এ অনুষ্ঠানে আসার পূর্বে ভাবছি যে আমাদের সেই যোদ্ধাদের সাথে আবারো একত্রিত হতে যাচ্ছি।

সেই যুদ্ধারা যাদের ট্রেনিং রয়েছে যারা দেশের প্রয়োজনে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে রাজপথে লড়াই করবে। আবার যখন প্রয়োজন হবে দেশের সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে যেসব শকুন দেয় তাদের চোখ উপড়ে ফেলবে। আমরা আজকে আপনাদের সামনে আমরা কি করতে চাই সেটা তুলে ধরতে এসেছি। আমরা আপনাদের থেকে কি চাই সেটা বলতে এসেছি।

আমরা জানি গ্রাম, পাড়া, মহল্লা, উপজেলায় যেসব সশস্ত্র বাহিনীর সৈনিক হোক বা অফিসার হোক, পরিবার সমাজে তাদের একটু অন্য রকম সম্মান থাকে। আমি আমার গ্রামে দেখেছি যারা সশস্ত্র বাহিনীতে কর্মরত তাদের কিভাবে শ্রদ্ধা করা হয় সম্মান করা হয়। আমার গ্রাম প্রত্যন্ত অঞ্চলে থেকে সীমান্ত থেকে তিন কিলোমিটার দূরে।

তাই আমরা মনে করি আপনা আপনাদের চাকরি কালীন সময়ে যে জায়গায় দায়িত্ব পালন করেছেন, আপনাদের মধ্যে যে ন্যায় নীতি-নিষ্ঠা, এগুলো এখন সময় এসেছে ঘরে বসে না থেকে তা দেশের গ্রামে পাড়া মহল্লায় ছড়িয়ে দিতে হবে।আপনার যখন অবসরের পর ঘরে চলে যান। পরিবারের সাথে সময় কাটান, তখন সবচেয়ে যে সমস্যাটি হয় আপনাদের থেকেও যারা অযোগ্য দুর্নীতিবাজ আপনাদেরকে চালায় তারা ক্ষমতা গ্রহণ করে দুর্নীতি করে চাঁদাবাজি করে।

কিন্তু এখন সময় এসেছে আর ঘরে বসে থাকার সময় নেই। আপনারা গ্রাম পাড়া মহল্লায় নির্বাচন করুন, চেয়ারম্যান,মেয়র,কাউন্সিলর, এমপি মন্ত্রী হয়ে উঠুন। আমরা আপনাদেরকে অনুরোধ করছি আজ থেকে আপনারা আপনাদের এলাকায় গিয়ে আপনাদের যতটুকু মনে হয় আপনাদের সামর্থ্য অনুযায়ী আপনারা কাজ করা শুরু করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *