
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের অন্যতম সাহসী মুখ, নারী শিক্ষার্থী সানজিদা চৌধুরীকে স্যালুট জানিয়েছেন। আন্দোলনের সময় সানজিদার উচ্চারিত “পেছনে পুলিশ,
সামনে স্বাধীনতা”-এই উক্তিটি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে এবং সামাজিক মাধ্যমে তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি করে। এই বক্তব্য শুধু মুহূর্তের একটি স্লোগান ছিল না; বরং এটি আন্দোলনের চেতনাকে ধারণ করে, যা দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের প্রতীক হয়ে ওঠে।
শুক্রবার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে পল্টনে ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প পরিদর্শনে গিয়ে জামায়াত আমির বলেন, “চব্বিশের আন্দোলনে আমরা একজন সাহসী বোনকে দেখেছি, যিনি বলেছিলেন-পেছনে পুলিশ, সামনে স্বাধীনতা।
তিনি আরও বলেছিলেন, ‘লড়েই যাবো, মরেই যাবো, মেরেই যাবো।’ সেই বোনের নাম সানজিদা চৌধুরী। তাকে স্যালুট জানাই। তার মধ্যে বায়ান্ন ও একাত্তরের চেতনার তেজ রয়েছে, যা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।”
ডা. শফিকুর রহমানের এই বক্তব্য প্রমাণ করে যে, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে তরুণদের সাহসিকতা এবং প্রতিবাদী ভূমিকা আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধ এবং সাম্প্রতিক সময়ের বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলনে তরুণদের ভূমিকা ছিল অপরিসীম।
তার মতে, বর্তমান প্রজন্মের তরুণরা শুধু ইতিহাসের সাক্ষী নয়, বরং তারকার আলো হয়ে ভবিষ্যতের পথ দেখাতে পারে। তিনি আরও বলেন, “তরুণদের অবদান কখনোই ভোলার নয়। তারা একেকজন একেকটি জীবন্ত ইতিহাস। এই সৌভাগ্য সবার হয় না। ইতিহাস শুধু স্মরণ করার বিষয় নয়, বরং এখান থেকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে বিপ্লবী হওয়ার শিক্ষা নিতে হবে।”