আরাকান আর্মির বিজয়ে যে প্রভাব পড়বে বাংলাদেশে

বাংলাদেশের পাশে যেকোনো সময় নতুন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে পারে রাখাইন। ইতোমধ্যেই অঞ্চলটির ৯০ শতাংশেরও বেশি ভূখণ্ডের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে আরাকান আর্মি। এই পরিবর্তনের প্রভাব কতটা পড়বে বাংলাদেশের ওপর?

মাত্র ১৫ বছরে রাখাইন রাজ্যে প্রভাব বিস্তার করেছে আরাকান আর্মি। বর্তমানে রাজ্যের ৯০ শতাংশেরও বেশি ভূখণ্ডের নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতে। বাংলাদেশ-মিয়ানমার ২৭১ কিলোমিটার সীমান্তের পুরো অংশ নিয়ন্ত্রণ করছে গোষ্ঠীটি।

একটি জাতীয় দৈনিকের প্রতিবেদনে বলা হয়, রাখাইন রাজ্যের প্রাকৃতিক সম্পদ ও বঙ্গোপসাগরে কৌশলগত অবস্থান চীনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কায়েকপিউ গভীর সমুদ্রবন্দর,

সে গ্যাস পাইপলাইনের মতো অবকাঠামো প্রকল্প চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের অংশ, যা দেশটির জ্বালানি সরবরাহ পথের নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গার প্রত্যাবাসন এখনো অনিশ্চিত। কারণ, আরাকান আর্মি তাদের স্বায়ত্তশাসিত রাখাইনে রোহিঙ্গাদের অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে আদৌ কী পদক্ষেপ নেবে,

সেটি এখনো অস্পষ্ট। কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবিরগুলো বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠীর নিয়োগ কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে, যা সংঘাতের পরিস্থিতি আরও জটিল করছে।

বিশ্লেষকদের মতে, বাংলাদেশ যদি সীমান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চায়, তবে আরাকান আর্মির সঙ্গে কৌশলগত আলোচনা শুরু করা যেতে পারে, যাতে মানবিক করিডোর খোলা এবং নিরাপদ প্রত্যাবাসনের পথ সুগম হয়।

রাখাইনের ভবিষ্যৎ কেবল সামরিক লড়াইয়ে নির্ধারিত হবে না, বরং কৌশলগত কূটনীতি, অন্তর্ভুক্তিমূলক শাসন এবং আঞ্চলিক সহযোগিতার ওপর নির্ভর করবে।

আরাকান আর্মির বিজয় শুধু মিয়ানমারের রাজনৈতিক বাস্তবতা নয়, বরং চীন, ভারত ও বাংলাদেশের ভূরাজনীতিতেও গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *