আমার সকল নিয়ে বসে আছি সর্বনাশের আশায়!

গেল বছর ৫ আগস্ট ছাত্রজনতার প্রবল গণ আন্দোলনের মুখে বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে আশ্রয় গ্রহণ সাবেক স্বৈরাচার শেখ হাসিনা।পালিয়ে যাওয়ার পর থেকেই এখন পর্যন্ত ভারতেই অবস্থান করছেন শেখ হাসিনা।

ঘরে যার দাম নাই বাইরেও তিনি সম্মান পান না। হরহামেশা শোনা কথাই হতে চলেছে সত্যি। ঘর থেকে তাড়া খেয়ে ঘোড়া রেখে পালান তাঁকেও আর কেউ রাখতে চাইছে না।

যে দেশের মুখে হাসি ফোটাতে তিনি সব দিলেন জলের ট্রানজিট, স্থল ট্রানজিট, রেল রুট সবই দেশের মানুষকে বুঝিয়ে জোট তুলে দিয়েছেন দাদাদের হাতে।

খাই খাই করা দাদারা যত চেয়েছেন ততই পেয়েছেন। তাঁদের সেভেন সিস্টার্সে যাওয়ার সময় বাঁচাতে বর্ডার নিরাপত্তার কথা ভুলে সবই দেওয়া হয়েছিল তাদের হাতে তুলে। রবি ঠাকুরের এই গান যেন সেই তরেই লেখা।

আমার সকল নিয়ে বসে আছি সর্বনাশের আশায়। যাঁদের জন্য সর্বনাশকে তোয়াক্কা করলেন না, তিনি সব উজাড় করে দিলেন। হাসিমুখে তিস্তার পানি চাইলেন না; ফারাক্কা হিংস্যা নিয়েও কোনও কথা তুললেন না;

আদানির থেকে কিনলেন অন্যায্য দামে বিদ্যুৎ, সমুদ্রবন্দরেও যাঁদের করতে দিলেন অবাধ নোঙর তারাই এখন মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছে। এখন সোজা কথায় তিনি বোঝা তাঁকে ছুড়ে ফেলতেই সহজ কোনো পথ খোঁজা।

যে সেভেন সিস্টার্সের যাতায়াত সহজ করতে তিনি সব করলেন, এমনকি দেশের রেল ও সড়ক যোগাযোগ কেও ওদের কথা মাথায় রেখে ঢেলে সাজালেন; সেই সেভেন সিস্টার্সই এখন দাঁড়িয়েছে শেখ হাসিনার বিপক্ষে।

তাঁরাও শেখ হাসিনাকে নিয়ে ভয় পাচ্ছে। তারাও আর বিপদ বাড়াতে চায় না। তারা মনে করছে শেখ হাসিনাকে নিয়ে ভারত বেশি চাল চাললে যা কিছু পেয়েছিল সস্তায় তার পুরোটাই চলে যেতে পারে অনাস্থায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *