বিশ্ব বাজারে ট্রাম্পের নতুন বার্তা

ইরানের তেল রপ্তানি বন্ধ করতে চান ট্রাম্প। ইরান প্রতিদিন ১৫ থেকে ১৬ লাখ ব্যারেল তেল রপ্তানি করে, যা এক লাখ ব্যারেলে নামিয়ে আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের তেল রপ্তানি ৯০ শতাংশ কমিয়ে ১০ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনার পরিকল্পনা করেছেন।

তেলের এই রাজস্ব থেকে ইরান সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোকে অর্থায়ন করছে, যা যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের জন্য হুমকি সৃষ্টি করছে—এমনটাই দাবি মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট ব্যাসেল্টের।

এই কৌশলকে ‘সর্বাধিক চাপনীতি’ বলা হচ্ছে, যা ইরানের অর্থনৈতিক সংকট ত্বরান্বিত করতে তৈরি করা হয়েছে। ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে ২০১৭ সালে ইরান প্রতিদিন প্রায় ৩০ লাখ ব্যারেল তেল রপ্তানি করতো,

কিন্তু ২০১৯ সালে তা ৪ লাখ ব্যারেলে নেমে আসে। ট্রাম্প প্রশাসন ইতোমধ্যে ইরানের তেল পরিবহনের জন্য ব্যবহৃত তিনটি ট্যাংকারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে এবং ভবিষ্যতে রাশিয়ার শক্তিখাতের ওপরও আরো কঠোর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পরিকল্পনা করছে।

যদি যুক্তরাষ্ট্র চীন ও ভারতের মতো দেশগুলোকে নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনে, তাহলে ইরানের তেল রপ্তানি প্রায় শূন্যের কোঠায় নেমে আসতে পারে। বর্তমানে ইরান উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি, ব্যাপক বেকারত্ব ও অর্থনৈতিক স্থবিরতার মুখোমুখি।

যদি ট্রাম্প প্রশাসন সত্যিই ইরানের তেল রপ্তানি ৯০ শতাংশ কমিয়ে দিতে সক্ষম হয়, তাহলে ইরানকে হয় চীনের মতো বিকল্প ক্রেতাদের ওপর সম্পূর্ণ নির্ভর করতে হবে, অথবা আন্তর্জাতিক চুক্তিতে ফিরে আসতে বাধ্য হতে হবে।

তবে চীন ও ভারত যদি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইরানের তেল কেনা চালিয়ে যায়, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য পরবর্তী চ্যালেঞ্জ হবে এই দেশগুলোর ওপর অর্থনৈতিক চাপ প্রয়োগ করা।

সূত্রঃ https://www.youtube.com/watch?v=47FuXw4nnxU

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *