
প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, “আমরা অনেক বিশ্ববিদ্যালয় করি বাংলাদেশে, কথায় কথায় বিশ্ববিদ্যালয় খুলে ফেলি। এত যখন বিশ্ববিদ্যালয় করেন, সঙ্গে নার্সিং কলেজ যোগ করে দেন। দেশেও কাজে লাগবে, বিদেশেও যেতে পারবে। এই চাহিদা কেউ কোনোদিন মেটাতে পারবে না। আমরা যত নার্স বানাতে পারি, অফুরন্ত চাহিদা আছে।
আরেকটা চাহিদা আছে কেয়ার গিভারের। কিচ্ছু না, ছয় মাসের ট্রেনিং। ছয় মাসের ট্রেনিং দিলে জাপান, ইউরোপ হাজারে হাজারে নিয়ে যাবে। আমরা পারছি না কেন?”
রবিবার (১৬ জানুয়ারি) রাজধানীর বাংলাদেশ চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ‘বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন’ আয়োজিত সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, “আমাদের এখানে একজন নার্সের বিপরীতে তিন জন চিকিৎসক আছেন। পৃথিবীর মানুষ অবাক হয়ে যায় এই কথা শুনে। কারণ হওয়া উচিত ছিল উল্টো।
নার্সই তো চালায় সবকিছু , চিকিৎসক সিদ্ধান্ত দেয়। যদি নার্সই না থাকে তাহলে সিদ্ধান্ত কাকে দেবে। আমাদের নার্সিং কলেজ আছে, কিন্তু যেই মান…, কাজেই এটা দিয়েও আমাদের কাজ হচ্ছে না।
এসময় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নিয়ে আক্ষেপ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা এমন এক স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বানিয়েছি, যখনই বসি— সবার দুঃখে ভরে যায়। সবাই দুঃখ করে যে সিস্টেমে চলছে!
কাঠামোগতভাবে এমন এক জিনিস. এটা বুঝতে পারি না এটা থেকে উদ্ধারের উপায় কী। কাজেই আমাদের সামনে বিশাল জগৎ, শুধু আমাদের সিদ্ধান্ত এবং কর্মসূচিগুলো ঠিক করার অপেক্ষায়।
আমাদের যে এত সুযোগ আছে, এগুলো বাস্তবায়ন হবে, এটা নিয়ে আমার চিন্তা নাই। আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা দুর্নীতি, সব শেষ করে দিয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কথা বললাম শুধু একটা উদাহরণ।’