
বিশ্ব পর্যটক ও কন্টেন্ট ক্রিয়েটর বনি আমিন বলেছেন, “৪২ বছরেও এই গেল সরকারকে আর ক্ষমতায় দেখবেন না, তিনি যতই চিৎকার করুক। জাতির আব্বার কন্যা এখন ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন, ভারতের পরিকল্পনা অনুযায়ী।
তিনি এক ধরনের নাচের পুতুল, যাকে শুধু ব্যবহার করা হচ্ছে।” বনি আমিন, যিনি বাংলাদেশে বাংলায় সোশ্যাল মিডিয়াতে কন্টেন্ট ছড়িয়ে দিতেন এবং তার কন্টেন্টের মাধ্যমে বাংলাদেশের ১৫-১৬ বছরের শাসনক্ষমতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেন, তাকে গত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশে অনিয়মিতভাবে আসতে দেওয়া হয়নি।
এখন তিনি ঢাকায় আছেন, এবং সেখান থেকে তিনি এই বক্তব্য দিয়েছেন। বনি আমিন বলেন, ‘এই ২১ কে আপনারা দুই দিয়ে পূর্ণ করে ৪২ বছরেও এই গেল সরকারকে আর ক্ষমতায় দেখবেন না, যতই চিৎকার করুক। তবে ভারতের উচিত তার মুখে স্টিকি টেপ লাগিয়ে দেওয়া, যেমন আমরা অস্ট্রেলিয়াতে বলি।
কারণ, না লাগালে তিনি পকপক করবেন এবং দিল্লি প্রশাসনের সাথে কূটনৈতিক জটিলতা সৃষ্টি হবে।'” তিনি আরও বলেন, “বিশ্বের অনেক দেশে এমন পতিত সরকার যখন পালিয়ে যায়, সে দেশ আশ্রয় দেয়ার পর এক ধরনের ইনজাংশন জারি করে। এর মানে হলো, ‘তোমাকে জায়গা দিলাম, কিন্তু তুমি এখানে কথা বলতে পারবে না।’ উদাহরণস্বরূপ, ইরানের শাহ দেশান্তরে চলে গিয়েছিলেন, এবং ইজিপ্টে তাকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছিল,
তবে বলা হয়েছিল, ‘আপনি কথা বলতে পারবেন না কারণ কূটনৈতিক ঝামেলা সৃষ্টি হতে পারে।'” “এভাবে, পৃথিবীর অন্যান্য দেশগুলিতেও একই পরিস্থিতি থাকে। তবে ভারত তার চাণক্য বুদ্ধি দিয়ে যে খেলা খেলছে, সেটা আমার জন্মভূমির জন্য খুবই ইরিটেটিং। ভারতকে অনেক সতর্ক হতে হবে, এবং আমাদের প্রতি তাদের দৃষ্টিভঙ্গি আরও সুপ্রসন্ন হতে হবে।
যদি তারা বাংলাদেশকে ভুটান, সিকিম, বা নেপালের মতো মনে করে, তবে সেটা বড় ভুল হবে।” “আমি দিল্লিকে ‘দাদা’ বলে সম্মানিত করি। দিল্লি একটু সতর্ক হতে হবে। আমি বর্তমানে বাংলাদেশে আছি। আজ ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, এবং আমি হোটেল লবিতে বসে এই কথা বলছি।
বাংলাদেশের জনগণের প্রতি আমার একটাই আবেদন: সত্যের পথে থাকুন। যারা অতীতে দেশপ্রেম দেখিয়েছেন, তারা ভবিষ্যতে ‘কিং মেকার’ হবে।” “যারা ‘কিং মেকার’ হয়, তারা ক্ষমতার বড় অংশীদার হয়। তাই, ‘কিং’ হওয়া নয়, ‘কিং মেকার’ হওয়ার চেষ্টা করবেন। যদি সুষম বণ্টন, সম্পদের সুষম বণ্টন এবং সুন্দর রাজনীতি চর্চা হয়, তবে জবাবদিহিতা থাকবে। আর তখন কেউ অন্যায় করলে, কোনো রাজনৈতিক সম্পর্ক বা পরিচয়ের ভিত্তিতে পার পাবে না।”