ভয়াবহ বিপদের মুখোমুখি আওয়ামী লীগ!

ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য শেখ হাসিনার শাসনের ভয়াবহতা এখন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আলোচিত। বিশ্বমঞ্চে নিজেকে হিরো হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলেও তিনি এখন ভয়ঙ্কর ভিলেন হিসেবে পরিচিত।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনারের দপ্তর এবং অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, উভয়েই বাংলাদেশের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ব্যাপারে কঠোর প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে যে, শেখ হাসিনার সরকারের অধীনে বাংলাদেশে মানবাধিকারের ব্যাপক লঙ্ঘন ঘটেছে, যা মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল তাদের প্রতিবেদনে বলেন, “বাংলাদেশে বিক্ষোভ দমন করতে শেখ হাসিনা সরকারের সহিংসতা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের চিত্র ফুটে উঠেছে।”

তারা আরও জানিয়েছে যে, জাতিসংঘের ১০৫ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনটি গত বছর অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ অন্যান্য মানবাধিকার সংগঠন দ্বারা প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলোর প্রতিধ্বনি।

প্রতিবেদনে কিছু সুপারিশ করা হয়েছে, যার মধ্যে সরকারের কর্মকাণ্ডে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, নিরাপত্তা বিভাগে সংস্কার এবং কালো আইন বাতিল করার প্রস্তাব রয়েছে। দীর্ঘমেয়াদী বিচার, জবাবদিহিতা এবং ক্ষতিপূরণের জন্য জাতিসংঘ এবং অন্যান্য সংস্থাকে প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

এছাড়া, ২০২৪ সালের জুলাই থেকে আগস্টের মধ্যে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ দমনে সহিংসতা ও দমন-পীড়ন নথিভুক্ত করা হয়েছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল একটি ভিডিও যাচাইয়ের সিরিজও প্রকাশ করেছে,

যেখানে বিক্ষোভ দমনে প্রাণঘাতী এবং অপ্রত্যাশিত বল প্রয়োগের প্রমাণ রয়েছে। এ প্রতিবেদনগুলোর মাধ্যমে দেখা যাচ্ছে যে, শেখ হাসিনা ও তার আওয়ামী লীগ সরকার গত ১৫ বছরে মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে, যা বিচারের জন্য যথেষ্ট বলে মনে করা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *