
শেখ হাসিনার পতনের পর পুলিশ বাহিনীর বিভিন্ন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের মধ্যে এক ধরনের আতঙ্ক দেখা দেয়, যার মধ্যে অন্যতম ছিল পুলিশের বিশেষ শাখার সাবেক প্রধান মুহাম্মদ মনিরুল ইসলাম।
তিনি ১৩ আগস্ট, অন্তর্বর্তী সরকারের দ্বারা বাধ্যতামূলক অবসর গ্রহণ করেন। কিন্তু হঠাৎ করে ডিসেম্বর মাসে তিনি নিজের ফেসবুক আই ডি থেকে সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনা করতে শুরু করেন।
মনিরুল ইসলাম ‘জয় বাংলা’ স্লোগানের বিকল্প ‘জয় বাংলা’এই মন্তব্য করে তার পোস্টে এটি প্রচার করেছিলেন এবং পরবর্তী সময়ে নানা রাজনৈতিক ইস্যুতে সরকারের সমালোচনা করে তিনি আরও সক্রিয় হন।
তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি ধর্মীয় অনুসারীদের জঙ্গি ট্যাগ দিয়ে পীড়ন চালাতেন। শোনা যায়, ৩ আগস্ট শেখ হাসিনার কাছ থেকে তিনি ২৫ কোটি টাকা নিয়ে, ছাত্রদের পেছনে ব্যয় করার জন্য নিজের কক্ষে রেখেছিলেন।
এছাড়া, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার এবং তার অধীনস্থ কর্মকর্তারা জুলাই-আগস্ট মাসে রাজধানীকে একটি হত্যাযজ্ঞের ক্ষেত্র বানিয়েছিলেন।
উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের মধ্যে যারা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ফ্যাসিবাদী প্রচারণা চালিয়ে গুলি করে মারার পরামর্শ দিচ্ছিলেন, তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেনঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার তার নেতৃত্বে অতিরিক্ত ডি আই জি বিপ্লব কুমার সরকার,
প্রলয় জুয়ারদার, খন্দকার নুরুন্নবী, এস. এম. মেহেদী হাসান, শহীদুল্লাহ্, সুদীপ কুমার চক্রবর্তী, সঞ্জীত কুমার রায় সহ অধিকাংশ দ্বায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তা জুলাই আগস্টে রাজধানীকে কসাইখানা বানিয়েছিলেন।
শেখ হাসিনাকে ফ্যাসিস্ট বানাদের এই উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যায় এবং গুলি করে মারার পরামর্শক ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক কৃষ্ণ পদ রায়,
উপ মহাপরিদর্শক মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক ও অতিরিক্ত উপমহা পরিদর্শক সরদার রকিবুল ইসলাম। এদের সকল্কে বাধ্যতামূলক অবসর এ পাঠান।
স্বরাষ্ট্র সচিব জানান, যারা অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে, তাদেরকে চিহ্নিত করে আইন অনুযায়ী ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।