অপারেশন ডেভিল হান্টে আটক এসপি ‘আবুল হাসনাত’ স্যোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল বক্তব্য

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর গুলি, বোমা ছোড়া ও স্থাপনা ধ্বংসের অভিযোগে বাগেরহাট-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) শেখ হেলাল উদ্দিন, শেখ তন্ময়, সাবেক জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) আবুল হাসনাত খানসহ আওয়ামী

লীগের ৩৫ নেতা-কর্মীর নামে মামলা করা হয়েছে। গতকাল শনিবার রফিকুল ইসলাম মিঠু নামের এক ব্যক্তি বাদী হয়ে ফকিরহাট থানায় মামলাটি করেন। এই মামলায় সাবেক পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত খানকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

আওয়ামীলীগ সরকারের দমন-পীড়নে অন্যতম ভূমিকা রেখেছিল বাগেরহাটের সাবেক পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত খান। পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা হওয়ার সুবাদে ফ্যাসিস্ট সরকারকে টিকিয়ে রাখার জন্য বিভিন্ন সময় উসকানিমূলক বক্তব্য

দিয়েছেন হাসনাত। তিনি বলেছিলেন, একটি ব্যালট, একটি বুলেটসহ নানা উসকানিমূলক বক্তব্য। এমনকি সন্ত্রাসীদের ছাত্র-জনতার আন্দোলনের বিরুদ্ধে কর্মকাণ্ডে উদ্বুদ্ধ করেছেন তিনি।

এ বিষয়ে ফকিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আলমগীর কবির দেশের স্বনামধন্য একটি পত্রিকাকে বলেন, ‘ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলি, বোমা ছোড়া, স্থাপনা ধ্বংসসহ কয়েকটি অভিযোগে ৩৫ জনের নামে মামলা হয়েছে। সাবেক পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত খানকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এ ছাড়া কয়েকজন বিভিন্ন মামলায় কারাগারে ছিলেন, তাঁদেরও এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হবে।’

ইতিপূর্বে গত শুক্রবার রাতে বাগেরহাটের সাবেক এসপি আবুল হাসনাত খানকে আটক করা হয়। তাঁর সঙ্গে আটক করা হয় পুলিশের আরও তিন কর্মকর্তাকে। তাঁরা হলেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সাবেক কমিশনার মোল্লা নজরুল ইসলাম, নোয়াখালীর সাবেক এসপি আসাদুজ্জামান ও সিলেটের সাবেক এসপি আব্দুল মান্নান।

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে হাসনাতের একটি বক্তব্য। যেখানে তিনি আওয়ামীলীগের দালালি করতে ব্যস্ত হয়ে পরেন। বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘ তাদের চোখগুলিতে গিয়ে হচ্ছে অগ্নি সন্ত্রাসী না রাষ্ট্রদোহী তাদের চোখ কোথায় গেছে দেখছেন তো যেখানেই উন্নয়ন সেখানেই ধ্বংস ঠিক কিনা, ঠিক। বিটিভি ধ্বংস, মেট্রোরেল ধ্বংস, সেতু ধ্বংস যেখানেই উন্নয়ন সেখানেই ধ্বংস।

আমরা কি চুপচাপ বসে থাকবো? বীর মুক্তিযোদ্ধারা এখানে এই যে আমাদের মাঝে আছে। মুক্তিযুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন কইরা গেছেন। দায়িত্ব এখন আমাদের, আপনারা বসেন আর দোয়া করেন আমরা কাজ করবো ঠিক কিনা? ঠিক। আবার প্রতিরোধ গড়ে তোলেন জায়গায় জায়গায় আমি দেখতেছি তারা কি হইছে। আন্দোলন হইছে আমাদের সরকারটা সব ভেঙ্গে যাচ্ছে কই আমি

তো একটাও দেখি না। বিভিন্ন জায়গা থেকে যারা আসছে তারা বলতেছে এটা করতে মাস্টারপ্লান চলছে। চলছে কিনা? চলছে। সন্ত্রাসী স্বাধীনতা বিরোধী। চক্রের স্থান তাদের হাতে না কথাগুলা রাজনৈতিক হয় না কিন্তু এই রাজনৈতিক দর্শন আমাদের মধ্যে আছে ঠিক আছে কিনা।

আমি নিরপেক্ষ কিন্তু রাষ্ট্রের অস্তিত্বের স্বার্থে আমি নিরপেক্ষ নই ঠিক আছে কিনা? হ্যাঁ। এই যে যারা সন্ত্রাসী কাজ চালাচ্ছেন। মনে রাখেন আমাদেরকে উই উইল টেক স্ট্যান্ড অ্যাকশন এগেন্স্ট দোজ পার্টি ঠিক আছে কিনা? আমি আর কথা বাড়াবো না

আমার হৃদয়ে রক্তক্ষণ হয় যখন এগুলো দেখি। যেখানে উন্নয়ন, যেখানে স্মার্ট বাংলাদেশে ট্রান্সফারের স্বপ্ন সেই আইসিটি সেক্টর সেই স্মার্ট বাংলাদেশ, সেই ডিজিটাল বাংলাদেশ, সেই স্বপ্নে আমাদের কি করছে তারা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে।

আমরা একসাথে এগুলোকে প্রতিরোধ করবো এই হোক আমাদের আগস্ট মাস, শোকের মাসের অঙ্গীকার। আগামীকাল পহেলা আগস্ট থেকে শোককে শক্তিকে পরিণত করবো ইনশাআল্লাহ ঠিক আছে কিনা? আপনাদের সাথে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে গিয়ে আমরা এগুলোকে প্রতিহত করবো। জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *