গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ (৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে ছাত্রসমাজের উদ্দেশে ভাষণ দিতে পারেন। আর তার এই ভাষণকে ঘিরে শুরু হয়েছে চারদিকে তীব্র বিতর্ক।
এদিকে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এই ভাষণের প্রতিবাদে এক কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সংগঠনটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে বলা হয়,
“বাংলাদেশের ছাত্রদের ওপর গণহত্যার পরেও হাসিনা ছাত্রসমাজের উদ্দেশে ভাষণ দিচ্ছেন! এটি চরম নির্লজ্জতার বহিঃপ্রকাশ।তারা কর্মসূচি দিয়েছে, রাত ৯টায় যেসময় হাসিনার ভাষণ হবে সেই সময় ঢাকা শহরের প্রতিটি মোড়ে ও বাজারে জুলাই
গণঅভ্যুত্থানের ভিডিও, ছবি ও ডকুমেন্টারি প্রচার করা হবে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আরও দাবি করেছে, সব সরকারি-বেসরকারি টিভি চ্যানেল যেন ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’-এর ওপর বিশেষ বুলেটিন প্রচার করে।
এছাড়া তারা সংবাদমাধ্যমগুলোকে সতর্ক করে বলেছে, “যেসব মিডিয়া শেখ হাসিনার ভাষণ প্রচার করবে, তাদের জাতীয় দালাল হিসেবে চিহ্নিত করা হবে।”
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পোস্টে বলেছেন, “হাসিনাকে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ দেওয়া মানে বাংলাদেশের জনগণের বিরুদ্ধে ভারতের যুদ্ধ ঘোষণা করা।”