প্রশ্নফাঁস কাণ্ডে আলোচিত গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলি সোমবার (২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে ছেলেকে জড়িয়ে কান্নায় ভাসলেন। আদালত সূত্রে জানা গেছে,
দুর্নীতি মামলায় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব মো: মুহিবুল হক এবং আবেদ আলিকে আদালতে হাজির করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করা হলে আদালত তা মঞ্জুর করে।
এ সময় কাঠগড়ায় বসে ছিলেন মুহিবুল হক, এবং একপাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন আবেদ আলি। তখন তার ছেলে সোহানুর রহমান সৌভিককে দেখে আবেদ আলি একে অপরকে জড়িয়ে ধরে অঝোরে কান্না করতে থাকেন।
কিছুক্ষণ পরে, তাদের দুজনকে আদালতের হাজতখানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এছাড়া, জানা গেছে, ২৮ জানুয়ারি তাদের গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করা হয়েছিল। সৈয়দ আবেদ আলি, যিনি পূর্বে পিএসসির ড্রাইভার হিসেবে কাজ করতেন,
জীবিকার তাগিদে মাত্র ৮ বছর বয়সে ঢাকায় পাড়ি জমান। প্রথমে কুলির কাজ করে ও পরে ফুটপাতে রাত কাটিয়ে অত্যন্ত কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে জীবনযাপন করেছিলেন তিনি।
একসময় গাড়ি চালানো শিখে পিএসসিতে চাকরি নেন এবং এরপর জড়িয়ে পড়েন প্রশ্নফাঁস চক্রের সঙ্গে। এই চক্রের মাধ্যমে বিপুল সম্পদ ও ক্ষমতার মালিক হয়ে ওঠেন আবেদ আলি।
তিনি মাদারীপুর জেলার ডাসার উপজেলার চেয়ারম্যান হতে চেয়েছিলেন। আবেদ আলির গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই তার জীবন ও কর্মকাণ্ড নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে।