ফেসবুকে প্রকাশ্যে ‘লাল সন্ত্রাস’ ঘোষণা দেওয়ার অভিযোগে ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি মেঘমল্লার বসুকে গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে ঢাকা কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টায় ঢাকা কলেজ কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে থেকে শুরু হওয়া বিক্ষোভ মিছিল হলপাড়া প্রদক্ষিণ করে মুক্তমঞ্চে গিয়ে শেষ হয়। বিক্ষোভে শিক্ষার্থীরা মেঘমল্লার বসুকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের আলটিমেটাম দেন।
এ সময় তারা স্লোগান দেন, “উদ্যানের গাঁজাখোর উদ্যানে ফিরে যা,” “লাল সন্ত্রাসের ঠিকানা বাংলাদেশে হবে না,” “মেঘমল্লারের দুই গালে-জুতা মারো তালে তালে,” “হৈ হৈ রই রই, মেঘমল্লার গেলি কই,” “শাহবাগীদের বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট একশন।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী জিহাদ হোসাইন বলেন, “বাংলাদেশে কোনো নব্য জঙ্গি দাঁড়াতে দেওয়া হবে না। জঙ্গিবাদের ঠাঁই এই বাংলায় নেই। মেঘমল্লার বসুরা এতদিন আওয়ামী লীগের মদদপুষ্ট হয়ে রাজনৈতিক কার্যক্রম চালিয়েছে। আমরা মনে করি, মেঘমল্লার বসুদের মতো ব্যক্তিরা আওয়ামী লীগের অন্য একটি চেহারা।”
তিনি আরও বলেন, “যদি আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার চেষ্টা চালানো হয়, তবে ছাত্রসমাজ তাদের সমূলে উৎপাটিত করবে। আমরা মনে করি, তারা ছাত্রসংসদ নির্বাচন বানচাল করতে কাজ করছে।
আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মেঘমল্লার বসু ও তার সহযোগীদের গ্রেপ্তার করা না হলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে। সংক্ষিপ্ত সমাবেশে শিক্ষার্থী মাহদিউজ্জামান বলেন, “লাল সন্ত্রাসের নামে বাংলাদেশে গুপ্ত হত্যা, ধর্ষণ এবং খুনের বৈধতা দেওয়া হয়েছিল।
তারই ধারাবাহিকতায় ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর নিরীহ মানুষের ওপর বর্বর হামলা চালানো হয়েছিল। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই এবং দাবি করি, মেঘমল্লার বসুকে দ্রুত গ্রেপ্তার করা হোক।”
ছাত্রসমাজ মিছিল শেষে আরও কার্যকর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেয় এবং সুষ্ঠু শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবি তোলে।