কুমিল্লার বুড়িচংয়ে বালু নিয়ে খেলা করায় শিশুকে পুকুরে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে এক কলেজ শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) বিকেলে বুড়িচং সদর ইউনিয়নের পূর্ব পাড়া মঞ্জুর আলী সর্দার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।ভুক্তভোগী শিশু মিফতাহুল মাওয়া (৪) সর্দার বাড়ির সৌদি প্রবাসী নজির আহমেদের মেয়ে।
সে বর্তমানে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের ১৪ নম্বর সিটে ভর্তি রয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষক শাহজাহান ফজলুর রহমান মেমোরিয়্যাল কলেজ অব টেকনোলজির শিক্ষক।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে শিশু মিফতাহুল মাওয়া ও তার বড় বোন গালিবা সুলতানা (১০) বাসা থেকে খেলতে বের হন। এক পর্যায়ে সড়কের পাশে রাখা বালু দিয়ে খেলা করছিলেন মাওয়া।
প্রতিবেশী শাহ জাহান এ দৃশ্যটি দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে পাশের একটি পরিত্যক্ত পুকুরে ফেলে দেন। এসময় গালিবা সুলতানা তার পা ধরে ক্ষমা চাইলেও তিনি শিশুটিকে পানি থেকে না উঠিয়ে বাসায় চলে যান।
পরে তার চিৎকারে শিশু মাওয়াকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন এক নারী পথচারী। তাকে উদ্ধার করে দ্রুত বুড়িচং উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
শুক্রবার সন্ধ্যায় এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত মাওয়া কুমেকে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ভাইরাল হওয়া ভিডিও ফুটেজে মাওয়ার মা সামছুন নাহার তানিয়াকে বলতে শুনা যায়, আপনার বালুর মূল্য আছে, আমার বাচ্চার মূল্য নাই?
প্রতি উত্তরে কলেজ শিক্ষক শাহ জাহান বলেন না, আমার কাছে কোন মূল্য নাই। এক পর্যায়ে তেড়ে আসেন তানিয়ার দিকে। পরে তর্কে-বিতর্কে জড়িয়ে দুইজন। এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত কলেজ শিক্ষক শাহজাহানকে
ফোন করা হলে তার ভাগিনা সাইফুল ইসলাম রিসিভ করে বলেন খালু বাসায় নেই। তিনি ডাক্তার দেখাতে ঢাকায় গিয়েছেন।
বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আজিজুল হক কালের কণ্ঠকে বলেন,
এ ঘটনায় সামছুন নাহার তানিয়া বাদী হয়ে মামলা করেছেন। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে।