ফের নোবেল পেতে যাচ্ছেন ড. ইউনূস?

বাংলাদেশের গর্বিত নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস আবারও নোবেল পুরস্কারের আলোচনায় উঠে এসেছেন। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বলা হচ্ছে, তিনি আবারও নোবেল পুরস্কার পেতে যাচ্ছেন।

তবে এখনো এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি। তার “থ্রি জিরোস” তত্ত্ব এবং সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার প্রচেষ্টা এই গুঞ্জনের পেছনে ভূমিকা রাখছে।

ড. ইউনূস ২০০৬ সালে মাইক্রোক্রেডিট ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য শান্তিতে নোবেল পুরস্কার অর্জন করেন। তার প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংক এবং মাইক্রোফাইন্যান্স উদ্যোগ দারিদ্র্য বিমোচন ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে বৈশ্বিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে।

বর্তমানে তার “থ্রি জিরোস” তত্ত্ব, যা দারিদ্র্য, বেকারত্ব এবং পরিবেশ দূষণ দূরীকরণে কেন্দ্রীভূত, বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হচ্ছে। অনেকেই ধারণা করছেন, এই কাজের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি আবারও নোবেল পুরস্কার পেতে পারেন।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস তার ২০১৭ সালে প্রকাশিত বহুল আলোচিত বই ‘এ ওয়ার্ল্ড অব থ্রি জিরোস’-এ পৃথিবীর তিনটি প্রধান চ্যালেঞ্জের সমাধানের জন্য নতুন এক দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেন। তিনি বইটিতে শূন্য দারিদ্র্য (Zero Poverty), শূন্য বেকারত্ব (Zero

Unemployment) এবং শূন্য নিট কার্বন নির্গমন (Zero Net Carbon Emissions) এই তিনটি বিষয়কে কেন্দ্র করে আলোচনা করেছেন। ড. ইউনূস একটি উন্নত, টেকসই এবং ন্যায়সঙ্গত সমাজ গঠনের লক্ষ্যে

এই তিনটি শূন্যের ধারণা বিশ্ববাসীর সামনে উপস্থাপন করেছেন। শূন্য দারিদ্র্য প্রসঙ্গে তিনি ব্যাখ্যা করেছেন যে, দারিদ্র্য কোনো স্বাভাবিক বা প্রাকৃতিক অবস্থা নয়; এটি সম্পদের বৈষম্যমূলক বণ্টনের কারণে সৃষ্ট একটি মানবসৃষ্ট সমস্যা।

ড. ইউনূসের অর্জন শুধু বাংলাদেশেই নয়, সারা বিশ্বে তাকে সম্মানিত করেছে। তার উদ্যোগগুলো মানুষের জীবনমান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে এবং দরিদ্রদের জন্য সমাধানমূলক নীতিমালা তৈরিতে অবদান রেখেছে।

এর আগে, ২০২৪ সালের অক্টোবরে, ড. ইউনূস জাপানের ‘নিহন হিদানকিয়ো’ সংগঠনকে পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত বিশ্ব গড়ার প্রচেষ্টায় শান্তি নোবেল পুরস্কার লাভ করার জন্য অভিনন্দন জানান।

যদিও “ড. ইউনূস নোবেল পুরস্কার পাচ্ছেন” এমন খবরটি এখনো গুজব হিসেবেই বিবেচিত হচ্ছে। তবে নোবেল পুরস্কার নিয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এলে বিষয়টি নিশ্চিত হবে।

মুহাম্মদ ইউনূস এবং তার প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংক যৌথভাবে ২০০৬ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করেন। তিনি প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে এই সম্মান অর্জন করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *