দু’র্ঘটনা থেকে বাঁচাতে কুকুরের গলায় রিফ্লেক্টিং বেল্ট পরাচ্ছে ‘পেটগো’

প্রায় প্রতিদিনই সড়ক-মহাসড়কে গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে প্রাণ হারাচ্ছে অসংখ্য কুকুর-বিড়াল। আর এসব ঘটনায় অনেক ক্ষেত্রেই দুর্ঘটনার কবলে পড়ছেন গাড়ির চালক-আরোহীরাও।

এ ধরণের দুর্ঘটনা কমিয়ে আনতে অভিনব পদ্ধতি গ্রহণ করেছে অ্যানিম্যাল ওয়েলফেয়ার প্ল্যাটফর্ম ‘পেটগো’। অন্ধকার রাস্তায় সহজেই প্রাণীদের দৃশ্যমান করতে তাদের গলায় পড়ানো হচ্ছে রিফ্লেক্টিং বেল্ট।

শনিবার (১১ জানুয়ারি) মোহাম্মদপুর এলাকায় থেকে তাদের এ কর্মসূচি শুরু হয়। প্রথম দিনে অন্তত ২০০ কুকুরের গলায় এই বেল্ট পড়ানো হয় বলে জানা গেছে।

পেটগোর প্রতিষ্ঠাতা সাকিব মেহেদী বলেন, জীববৈচিত্র্যের ভারসাম্য রক্ষায় মানুষের পাশাপাশি সমাজে প্রাণীদেরও জীবনের মূল্য অপরিসীম। আমাদের প্রধান লক্ষ্যই হচ্ছে, এই প্রাণীদের জন্য আমাদের সমাজকে নিরাপদ আভাসভূমি হিসেবে তৈরী করে দেয়া।

রিফ্লেক্টিং বেল্ট পড়ানোর কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, এই বেল্ট পড়া থাকলে দূর থেকে গাড়ি বা বাইকের চালক বুঝতে পারবেন সামনে কোনো কুকুর বা বিড়াল আছে। চালক সহজেই তার গতি নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হবেন। ফলে এটা উভয়পক্ষের জন্যই কল্যাণকর।

তিনি বলেন, প্রথম দিনে প্রাথমিকভাবে আমরা ২’শর মতো বেল্ট পড়িয়েছি। আমাদের আপাতত লক্ষ্য ঢাকা শহরের সব কুকুরকে এই বেল্ট পড়ানো। আমাদের এ কার্যক্রম চলতে থাকবে।

আদাবরের স্থানীয় বাসিন্দা তমাল আহমেদ বলেন, হঠাৎ করে রাতে এলাকায় ফিরে দেখলাম প্রায় সব কুকুরের গলায় বেল্ট। আমার বাসার গলির দৃশ্যই যেন বদলে গেছে। আমি প্রথমে বুঝতে না পারলেও পরে জেনে খুব ভালো লেগেছে। তাদের এ ধরণের উদ্যোগকে স্বাগত জানাই।

পেটগোর সহ-প্রতিষ্ঠাতা মোবাশ্শির ফাহাদ বলেন, শুধু গাড়ির দুর্ঘটনা নয়, বেল্ট পড়া কুকুর-বিড়াল দেখলে আমরা ধরে নিই- এই প্রাণী প্রভুহীন নয়।

সেক্ষেত্রে নির্যাতনের পরিবর্তে তাদের সমীহ করি অনেক ক্ষেত্রেই। পেটগোর এই কর্মসূচির মাধ্যমে সমাজে এ বার্তা দেবে, বেল্ট পড়ানো এ প্রাণীগুলোর দেখভাল করছে কেউ। ফলে সমাজে অ্যানিম্যাল এবিউজ কমবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *