এবার বাংলাদেশকে যে নতুন বার্তা দিল যুক্তরাষ্ট্র

যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে সব ধরনের সহায়তা করতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন ভারতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত এরিক গারসেটি। বাংলাদেশের নতুন প্রতিনিধিদের সাথে আমেরিকা যোগাযোগ রাখছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভানের সাম্প্রতিক ভারত সফরে বাংলাদেশ নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন গারসেটি। দেশটির কলকাতাভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভানের সদ‍্য সমাপ্ত দিল্লি সফরে বাংলাদেশ পরিস্থিতি আলোচনার গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হয়ে ওঠে বলে শুক্রবার জানিয়েছেন দিল্লিতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত এরিক গারসেটি।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “বাংলাদেশের নতুন প্রতিনিধিদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র যোগাযোগ রাখছে। বাইডেন এবং ট্রাম্প প্রশাসন উভয়ের কাছেই সংখ‍্যালঘুদের স্বার্থ গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশে নির্বাচন সম্পন্ন করা এবং সবাইকে সুরক্ষিত রাখায় যুক্তরাষ্ট্র সব ধরনের সহায়তা করতে প্রস্তুত। দিল্লিতে সুলিভানের আলোচনার অনেকটা জুড়েই ছিল বাংলাদেশের কথা।”

আমেরিকান এই রাষ্ট্রদূতের মন্তব‍্য, “আমরা সবাই স্থিতিশীল, সমৃদ্ধ, সহিষ্ণু বাংলাদেশই চাই। এ বিষয়ে ভারত, আমেরিকা উভয়েরই স্বার্থ জড়িয়ে। এর জন‍্য আমরা আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে পারি।”

যেকোনও রাজনৈতিক পালাবদলই কঠিন এবং তা সব সময় ভালো হবেই বলা যায় না বলে গারসেটি মন্তব‍্য করেন। এছাড়া ভারত এবং আমেরিকার নানা ক্ষেত্রে দায়বদ্ধতার বিস্তৃত পরিসর রয়েছে বলে রাষ্ট্রদূতের দাবি।

তিনি বলেন, “বিশ্বে উষ্ণায়নের মোকাবিলা, বাণিজ‍্য, তথ‍্যপ্রযুক্তি যোগাযোগের প্রসার থেকে নানা ক্ষেত্রে সহযোগিতায় ভারত আমেরিকার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে যুদ্ধেও ভারত গ্রাউন্ড জিরো।

জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাও সম্প্রতি পরমাণু শক্তির দায়িত্বপূর্ণ ব‍্যবহার নিয়ে দিল্লিতে কথা বলেছেন। ভারতেও চীনের মতো সুলভে অপ্রচলিত শক্তির সংস্থান করা যায়।”

গারসেটি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র বা ভারত, কোনও গণতন্ত্রই নিশ্ছিদ্র নয়। বাড়ির রক্ষণাবেক্ষণের মতো গণতন্ত্রেরও পরিচর্যা করতে হয়। তবে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার পার্থক্য প্রসঙ্গে গারসেটি বলেন,

“ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলে থাকেন, আমেরিকার বিষয়ে উনি কথা বলবেন না, আমেরিকাও ভারতের বিষয়ে কিছু বলবে না। আমি কিন্তু বলব, উভয়ই উভয়ের বিষয়ে কথা বলুক। সব দেশেরই অভ‍্যন্তরীণ সমস‍্যা থাকে। সম্পর্ক অন্তরঙ্গ হলে খোলা মনে আরও কথা বলা যাবে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *