ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়িয়েছে নয়াদিল্লি। এতে বাংলাদেশের কী করার আছে বলে প্রশ্ন রেখেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। বুধবার (৮ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে পড়ে পাল্টা প্রশ্ন রাখেন উপদেষ্টা।
তৌহিদ হোসেন বলেন, আপনাদের মতো আমিও এটা (শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়ানো) পত্রিকার মাধ্যমে জেনেছি। আমাদের কী করার আছে?
প্রত্যর্পণ চুক্তির আওতায় শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে গত ডিসেম্বরে দিল্লির বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কূটনৈতিক পত্র পাঠানো হয়েছে।
চিঠির জবাব এখনো ভারত দেয়নি জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, শেখ হাসিনাকে ফেরত আনতে ভারতের কাছে যে চিঠি দেওয়া হয়েছিল, তার জবাব এখনো পাইনি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, শেখ হাসিনাকে ফেরত পেতে ভারতের চিঠির জন্য অপেক্ষা করবে বাংলাদেশ। ভারতের কাছ চিঠির জবাব পাওয়ার পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। গত বছরের ৫ আগস্ট ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর এখন পর্যন্ত সেখানেই অবস্থান করছেন শেখ হাসিনা।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গণ-অভ্যুত্থানের সময়ে হ’ত্যাকাণ্ড, গত ১৬ বছরে গুম-ক্রসফায়ার, পিলখানা হত্যাকাণ্ড ও শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হ’ত্যাকাণ্ডের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ এসেছে।
জোরপূর্বক গুমের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি আসামিদের গ্রেপ্তার করে হাজির করার নির্দেশও দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। এদিকে, অন্তর্বর্তী সরকার জুলাই বিক্ষোভে জোরপূর্বক গুম ও হ’ত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট বিভাগ ৯৭ জনের পাসপোর্ট বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শেখ হাসিনাও রয়েছেন তাদের মধ্যে।